বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

বিকোজিন হলো জিংক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ একটি ঔষধ, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে মানসিক বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় জিংক গ্রহণ করলে সেটা শিশুর শৈশব এবং কৈশোরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কাজে লাগে।

আপনি জানলে অভাক হবেন, জিংকে এমন কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শিশুর এইচডি অ্যাটেনশনের মতো বিষয়ে কাজে লাগে। এছাড়াও অধিকাংশ ডাক্তার পরিপাক প্রজননের জন্য জিংক সাজেস্ট করে।

আজকের আয়োজনে আমরা বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin এর উপকারিতা ও অপকারিতা
বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin এর উপকারিতা ও অপকারিতা 


ভিটামিন বি- Vitamin B

আপনি কি জানেন মানবদেহে খাদ্য থেকে শক্তিতে রুপান্তরিত করার প্রধান কাজটি করে কে? উত্তরঃ ভিটামিন বি। হ্যা,ভিটামিন বি এর মাধ্যমেই খাদ্য থেকে শক্তিতে রুপান্তরিত হয়। ভিটামিন বি শুধু কি খাদ্য থেকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে! এছাড়াও ভিটামিন বি এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে।

শিশু থেকে বয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ভিটামিন বি খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও ডাক্তার শিশু বুদ্ধি ও বিকাশের জন্যও ভিটামিন বি দিয়ে থাকে।

বয়স ভাড়ার সাথে সাথে নিজের ভিতরে ভারসাম্যহীনতা ও দূর্বলতা দেখা দেয়। কিন্তু নিয়মিত ভিটামিন গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যাদের বয়স ভাড়ার কারনে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়েছে তারা নিয়মিত ভিটামিন বি গ্রহণ করলে এই সমস্যার সমাধান হবে। 

এছাড়াও ভিটামিন বি এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমুক্ষিন হতে হয়।যেমন, বমি বমি ভাব, বমি,ক্ষুধা মন্দা,ইনফেকশন এবং চর্মরোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।

জিংক- Zinc

জিংক মানবদেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে দেহের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শিশু থেকে বয়স্কদের পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণির মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য জিংক কাজ করে।
যাদের ক্ষুধা কম তারা নিয়মিত জিংক ক্ষেত্রে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি ঘ্রাণে সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত জিংক খেতে পারেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে যাদের আঙুলে সাদা সাদা ইনফেকশন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জিংক খুব কার্যকারী ঔষধ। এছাড়াও মসৃণ ত্বকের জন্যও নিয়মিত জিংক খাওয়া যেতে পারে। আপনার যদি অতিরিক্ত পেটে সমস্যা হয় তাহলে জিংক খেতে পারেন। 

বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হওয়া যায় 

আমাদের একটা ধারণা বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে নাকি দ্রুত মোটা হওয়া যায়। আমাদের এই রকম ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আসলে বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না।

তবে বিকোজিন ট্যাবলেট যেহেতু শারীরিক ও মানসিক দিক শক্ত করে।  প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার দ্রুত হজম করাতে সাহায্য করে। আর খাবার যত দ্রুত হজম করবে শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলোও তত জমা হতে থাকবে। আর এর মাধ্যমে ওজন বাড়ার পাশাপাশি শরীরের পরিবর্তনও ঘটে যাবে।

বিকোজিন ট্যাবলেট এর উপাদানগুলো Becozin 


জিংক এবং ভিটামিন বি ছাড়াও জিংকে আলাদা আরও কিছু উপাদান রয়েছে। যেগুলো আপনার শরীরের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলুন নিচে দেখে নেই জিংকের কতগুলো উপাদান রয়েছে;
  • Thiamine Mononitrate BP 5mg.
  • Pyridoxine Hydrochloride BP 2mg.
  • Riboflavin BP 2 mg.
  • Nicotinamide BP 20 mg.
  • Zinc Sulphate Monohydrate USP 27.45 mg.
  • Zinc 10.

বিকোজিন ট্যাবলেট এবং সিরাপ খাবার নিয়ম

যদি খাবারের নিয়ম বলতে চাই তবে বয়স এবং ওজন অনুযায়ী খাবার নিয়মের তারতম্য হয়ে থাকে। চলুন নিচে ট্যাবলেটে এবং সিরাপের খাবার নিয়ম জেনে নেই;

 বিকোজিন ট্যাবলেট

 ট্যাবলেট মূলত প্রাপ্তবয়স্ক ও ৩০ কেজি ওজনের রুগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ৩০ কেজি ওজনের ঊর্ধ্বে ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১-২ টি ট্যাবলেট দৈনিক ২ বার। 

বিকোজিন সিরাপ

  • ১ বছরের কম বাচ্চার ক্ষেত্রেঃ ১ চামচ করে দিনে ১ থেকে ২ বার।
  • ১-১৬ বছর বয়সীদের জন্যঃ ২ চামচ করে দিনে ১ বার থেকে ৩ বার।
  • ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের জন্যঃ ২ চামচ করে দৈনিক ২-৩ বার খেতে পারবেন।
সতর্কতাঃ খাবারের নিয়মের উপর ভিত্তি করে ঔষধের ডোজের ভিন্নতা রয়েছে। এই জন্য প্রথমে ডাক্তারের সাথে দেখা করে ঔষধের ডোজ সম্পর্কে জেনে নিবেন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

বিকোজিন ট্যাবলেট এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ এটি দেহের জন্য খুবই সুসহনীয়। বিকোজিন এ কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই।

তবে বিকোজিন ট্যাবলেটে নামমাত্র কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন, ডায়রিয়া,পাকস্থলীর সমস্যা, বমিবমি ভাব,বমি ইত্যাদি। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।

সতর্কতাঃ যাদের শরীরে অতিরিক্ত এলার্জি আছে তারা বিকোজিন ট্যাবলেট থেকে দূরে থাকবেন। কারন এলার্জি রুগির জন্য বিকোজিন ট্যাবলেট মারাত্মক ক্ষতিকর।
এছাড়াও সিজারের রুগীর ক্ষেত্রেও বিকোজিন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অন্যন্য ঔষধের সাথে 

 কিছু কিছু ঔষধের সাথে বিকোজিন বিক্রিয়া করে থাকে। এই জন্য বিকোজিন খাওয়ার আগে এই বিষয় জানলে কোনো সমস্যা পড়তে হবে না।

টেট্রাসাইক্লিন ঔষুধের সাথে বিকোজিন সব থেকে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এছাড়াও আরও কিছু ঔষধ আছে যেগুলোর সাথে বিকোজিন খাওয়া যাবে না। এই জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি 

ঔষধের ধরন অনুযায়ী প্রতিটা ঔষধের সংরক্ষণ পদ্ধতি রয়েছে। ঠিক তেমনি বিকোজিন এরও কিছু সংরক্ষণ পদ্ধতি রয়েছে। প্রতিটা ঔষধেরও মতো বিকোজিনকেও আদ্রতা মুক্ত রাখতে হবে। বিকোজিন ঔষধ রাখার স্থান যাতে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া উচিত। কারন রোগ ব্যধি বুজে ঔষধের ডোজ কম বা বেশি বা নাও লাগতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খেলে অনেক বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। 

কোন কোম্পানির বিকোজিন খাওয়া উচিত। 

বিকোজিন ট্যাবলেট/সিরাপ স্কয়ার কোম্পানির ঔষধের নাম মাত্র। এটি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে। আপনি যে কোনো একটি কোম্পানি থেকে বিকোজিন নিতে পারেন। তবে সর্বাদিক বিক্রিত হওয়ায় স্কয়ার কোম্পানির এই ঔষধ সব থেকে পরিচিত নাম।

বিকোজিন ট্যাবলেট/সিরাপের দাম

আপনি যদি বিকোজিন ট্যাবলেট নিতে চান, তাহলে সেটি পট হিসেবে পাবেন। প্রতিটি পটে ৩০ টি ট্যাবলেট থাকে। আর এই ৩০ টি ট্যাবলেটের দাম মাত্র ১০৫ টাকা। ১০৫ টাকা হিসেবে প্রতি পিস পড়ে ৩.৫০ পয়সা।
  • প্রতি পিস বিকোজিন ১০০ এমএল সিরাপের মূল্য মাত্র ৫৫ টাকা
  • প্রতি ২০০ এমএল এর মূল্য ১১০ টাকা।

পরিশেষে 

আমাদের আজকের আয়োজনে আমরা বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? Becozin আসলে কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি। আশা করা যায় বিকোজিন নিয়ে আপনাদের আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। 

এই রকম নিত্য নতুন সব স্বাস্থ্য রিলেটেড আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন ALL BD 24.Com এ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url